ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা দেবীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর ইসলাম এর বিরুদ্ধে হাসিনা বানু নামের এক বিধবা মহিলার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিধবার স্বামীর রেখে যাওয়া ২০ শতক জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দেবীপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ানী বাজারে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মাটিতে গড়াগড়ি করে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিধবা হাসিনা বানু এমন অভিযোগ করেন।
বিধবা হাসিনা বলেন, আমার স্বামী একজন পাগল ছিলেন। আতিয়া পাগলা নামে তাকে সবাই চিনতো। তার কোন স্বাভাবিক জ্ঞান ছিলনা। আমি আমার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়নের রঙ্গিয়ানী বাজারে আমার শ্বশুরের মালিকানা জমিতে বসবাস করে আসছি। গত বছর আমার স্বামী মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমি মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছি। আমার স্বামী মারা যাওয়ার এক মাস পর হঠাৎ চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাহাঙ্গীর ও তার গুন্ডা পান্ডারা আমাকে এই জমি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। আমরা না যাওয়াতে সম্প্রতি দের দুই মাস আগে আবার তারা রাতের আঁধারে এসে আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারা শুরু করে। আর আমার দুই ছেলেকে বেঁধে গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে দিয়ে বলে আজ রাতের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে। তারা দাবি করে এই জমি নাকি আমার স্বামী চেয়ারম্যানের কাছে বিক্রি করেছে। আমি এর কিছুই জানিনা। আমি খুব অসহায়। আমার চোখের সামনে আমার শেষ সম্বল স্বামীর জমিটুকু দখল করে ইটের প্রাচীর দিচ্ছে চেয়ারম্যান। সমাজের সবার পায়ে ধরে বলি আমার স্বামীর জমিটুকু উদ্ধার করে দিন।
বিধবার ছেলে হকিকুল ইসলাম বলেন, সেদিন রাত ছিল খুব ভয়ঙ্কর। আমাদের সবাইকে মারধর করে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। আমাদের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে দিয়ে আমার জমি দখল নিয়েছে তারা। চেয়ারম্যান যদি আমার বাবার নিকট জমি কিনেই থাকে তাহলে আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে আসেনি কেন? তারপরেও চেয়ারম্যান শুধু বার শতক জমি ক্রয় দেখাচ্ছে কিন্তু তিনি ২০ শতক জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমরা খুব অসহায় আমাদের সহায়তা করুন। এর আগে তারা আপোষ করার নামে আমাকে ধমক ও ভয় দেখিয়ে একটি আপোষ নামাতে সই করিয়ে নিয়েছে।
সেদিনের রাতের ঘটনার বর্ণনা করেন স্থানীয় দোকানদার আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আতিয়া পাগলা সহ তার পরিবারকে এখানে বসবাস করে আসতে দেখেছি। হঠাৎ রাতের অন্ধকারে তাদের মারধর করে জমি দখল করা হয়েছে। পরিবারটি খুব অসহায় প্রতিবাদ করার মানুষ নেই।
স্থানীয় সাবিরুল ইসলাম বলেন, কিভাবে চেয়ারম্যান জমির মালিকানা দাবি করছে আমি জানিনা। আতিয়া পাগলা যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন এসব কথা শোনা যায়নি। সে মারা যাওয়ার এক মাস পর থেকে তাদের এসব ঝামেলা। এটার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
বিধবা মহিলার স্বামী আতিয়া পাগলার বন্ধু মোহম্মদ বাসের বলেন, এখানে যে স্থাপনাটি নির্মাণ হচ্ছে সেটি পুরোপুরি অবৈধ। কিন্তু সমাজে এসব প্রতিবাদ করার মানুষ নেই। সাবেক চেয়ারম্যান আবার আওয়ামী লীগ নেতা। তার প্রভাবে আমরা কোনকিছু বলার সাহস পাইনা। প্রতিবাদ করে কি হবে? আমরা গরীব মানুষ।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে কোন কথা সাংবাদিকদের বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন যা জানার সাবেক চেয়ারম্যান নূর ইসলামের কাছে জেনে নিন।
সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর ইসলাম বলেন, আমি ২০১০ সালে ওই বিধবা মহিলার জমি ক্রয় করেছি। আমার কাছে কাগজ আছে। আতিয়া পাগলার বড় ছেলে নাসিরুল সে সময় উপস্থিত ছিল। রাতের অন্ধকারে মারধর করে জমি দখলের বিষয়টি তিনি এড়িযে যান এবং বলেন জমিতে একটা পুকুর ছিল আমি কেনার পর থেকে সেখানে মাছ চাষ করে আসছি।
এ বিষয়ে বিধবা হাসিনা বানুর ছেলে হকিকুল ইসলাম সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অফিসার্স ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম। বলেন ঘটনাস্থালে একাধিক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। পরিবারটিকে আদালতে বিচার চাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দেবীপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ানী বাজারে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মাটিতে গড়াগড়ি করে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিধবা হাসিনা বানু এমন অভিযোগ করেন।
বিধবা হাসিনা বলেন, আমার স্বামী একজন পাগল ছিলেন। আতিয়া পাগলা নামে তাকে সবাই চিনতো। তার কোন স্বাভাবিক জ্ঞান ছিলনা। আমি আমার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়নের রঙ্গিয়ানী বাজারে আমার শ্বশুরের মালিকানা জমিতে বসবাস করে আসছি। গত বছর আমার স্বামী মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমি মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছি। আমার স্বামী মারা যাওয়ার এক মাস পর হঠাৎ চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাহাঙ্গীর ও তার গুন্ডা পান্ডারা আমাকে এই জমি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। আমরা না যাওয়াতে সম্প্রতি দের দুই মাস আগে আবার তারা রাতের আঁধারে এসে আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারা শুরু করে। আর আমার দুই ছেলেকে বেঁধে গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে দিয়ে বলে আজ রাতের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে। তারা দাবি করে এই জমি নাকি আমার স্বামী চেয়ারম্যানের কাছে বিক্রি করেছে। আমি এর কিছুই জানিনা। আমি খুব অসহায়। আমার চোখের সামনে আমার শেষ সম্বল স্বামীর জমিটুকু দখল করে ইটের প্রাচীর দিচ্ছে চেয়ারম্যান। সমাজের সবার পায়ে ধরে বলি আমার স্বামীর জমিটুকু উদ্ধার করে দিন।
বিধবার ছেলে হকিকুল ইসলাম বলেন, সেদিন রাত ছিল খুব ভয়ঙ্কর। আমাদের সবাইকে মারধর করে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। আমাদের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে দিয়ে আমার জমি দখল নিয়েছে তারা। চেয়ারম্যান যদি আমার বাবার নিকট জমি কিনেই থাকে তাহলে আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে আসেনি কেন? তারপরেও চেয়ারম্যান শুধু বার শতক জমি ক্রয় দেখাচ্ছে কিন্তু তিনি ২০ শতক জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমরা খুব অসহায় আমাদের সহায়তা করুন। এর আগে তারা আপোষ করার নামে আমাকে ধমক ও ভয় দেখিয়ে একটি আপোষ নামাতে সই করিয়ে নিয়েছে।
সেদিনের রাতের ঘটনার বর্ণনা করেন স্থানীয় দোকানদার আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আতিয়া পাগলা সহ তার পরিবারকে এখানে বসবাস করে আসতে দেখেছি। হঠাৎ রাতের অন্ধকারে তাদের মারধর করে জমি দখল করা হয়েছে। পরিবারটি খুব অসহায় প্রতিবাদ করার মানুষ নেই।
স্থানীয় সাবিরুল ইসলাম বলেন, কিভাবে চেয়ারম্যান জমির মালিকানা দাবি করছে আমি জানিনা। আতিয়া পাগলা যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন এসব কথা শোনা যায়নি। সে মারা যাওয়ার এক মাস পর থেকে তাদের এসব ঝামেলা। এটার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
বিধবা মহিলার স্বামী আতিয়া পাগলার বন্ধু মোহম্মদ বাসের বলেন, এখানে যে স্থাপনাটি নির্মাণ হচ্ছে সেটি পুরোপুরি অবৈধ। কিন্তু সমাজে এসব প্রতিবাদ করার মানুষ নেই। সাবেক চেয়ারম্যান আবার আওয়ামী লীগ নেতা। তার প্রভাবে আমরা কোনকিছু বলার সাহস পাইনা। প্রতিবাদ করে কি হবে? আমরা গরীব মানুষ।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে কোন কথা সাংবাদিকদের বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন যা জানার সাবেক চেয়ারম্যান নূর ইসলামের কাছে জেনে নিন।
সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর ইসলাম বলেন, আমি ২০১০ সালে ওই বিধবা মহিলার জমি ক্রয় করেছি। আমার কাছে কাগজ আছে। আতিয়া পাগলার বড় ছেলে নাসিরুল সে সময় উপস্থিত ছিল। রাতের অন্ধকারে মারধর করে জমি দখলের বিষয়টি তিনি এড়িযে যান এবং বলেন জমিতে একটা পুকুর ছিল আমি কেনার পর থেকে সেখানে মাছ চাষ করে আসছি।
এ বিষয়ে বিধবা হাসিনা বানুর ছেলে হকিকুল ইসলাম সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অফিসার্স ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম। বলেন ঘটনাস্থালে একাধিক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। পরিবারটিকে আদালতে বিচার চাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।