পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে সমন্বয় হতে হবে। ঢাকা শহরের খাল নিয়ে ভাবে এমন অনেক সংস্থা আছে তাদেরকে যুক্ত করতে হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর পানি ভবনে আয়োজিত ‘ব্লু নেটওয়ার্ক অ্যারাউন্ড ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরীর চারদিকে নদী খালগুলোতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি করতে অংশীজনদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের পর একটা ওয়ার্কশপ করতে হবে। সেখানে ঢাকার প্রতিটি খালের বাস্তবচিত্র নিয়ে কথা হবে। খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হতে হবে। কোন খালগুলো ইমিডিয়েট উচ্ছেদ করতে হবে আর কোনগুলো একটু বেশি সময় নিয়ে করতে সেই বিষয়ে ওয়ার্কশপে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের যুব দিবসে কয়েকটা খাল পরিষ্কার করা যেতে পারে। যেখানে যুবকরা সরাসরি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই প্রজন্ম পরিষ্কার কোনো খাল দেখেনি। এখনো হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। যুব দিবসে যখন দেখবে যুবকেরা উদ্যোগ নিয়ে খাল পরিষ্কার করছে, তখন তারা বাকি খালগুলো পরিষ্কারেও উদ্যোগ নেবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কোন বছর আমরা কী কাজ করবো। তবে এখানে দুই থেকে তিন বছরের বেশি সময় লাগার কথা না। এখানে আরেকটা বড় ব্যাপার হলো এই খালগুলো দূষণমুক্ত করার সহজ কোনা উপায় নেই। সেজন্য দুই-তিন মাস পর পর পরিষ্কার কার্যক্রমে নামতে হবে। আমাদের একটা খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে ৩৫০ কোটি টাকা নেওয়া হয়। কিন্ত এতো টাকা দিয়ে নতুন একটি খাল বানানো যায়। তাই এই কার্যক্রমে ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে।