বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ মর্যাদাশীল উন্নত করে গড়ে তুলতে দেশনায়ক তারেক রহমানের কোনও বিকল্প নেই। তারেক রহমান এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন যেখানে মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন। সুখে-শান্তিতে, আত্মমর্যাদা নিয়ে নিরাপদে নিজভূমে বসবাস করতে পারবেন। নিজদেশে আর কখনও পরাধীন হয়ে থাকতে হবে না। দেশের নাগরিকরা যখন বিদেশে যাবেন তখন প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান পাবেন। বাংলাদেশ বাংলাদেশ পরিচয়েই বিশ্বের বুকে অধিষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দেশের জনগণ তা দেখতে পেয়েছেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কাজীরহাট বাজার, টিএন্ডটি মোড়সহ বিভিন্ন প্রান্তে ‘ধানের শীষ’ সম্বলিত লিফলেট এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা মূলক জেলায় জেলায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এর যৌথ লিফলেট বিতরণের ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে রেখেছিল। রক্তপিপাসু হাসিনার উচিত দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ নিয়ে এখনও চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রশাসনে এখনও ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা বসে আছে।
যুবদল সভাপতি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের সাংগঠনিক নির্দেশনা, প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গর্বিত উত্তরাধিকার জনাব তারেক রহমানই পারবেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অটুট রাখতে। বাংলাদেশের মানুষ চায় তারেক রহমান দেশে আসুক, তাদের মনের কথাগুলো বলুক। রক্তের দামে কেনা এইদেশকে ফ্যাসিবাদহীন নিরাপদ করে গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
যুবদল সভাপতি বলেন, ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিএনপির উপর বর্বরোচিত অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছে, খুন করেছে। ২ কোটি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে। মাফিয়া হাসিনার অত্যাচারে বিএনপির কেউ ঘরে থাকতে পারে নাই। বিএনপির ত্যাগের সাথে অন্যকোন কিছুর তুলনাই চলে না। ইস্পাত কঠিন সুদৃঢ় ঐক্যই ছিল বিএনপির দৃঢ় মনোবলের ভিত্তি। এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আমাদের প্রেরণা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সকল গুম-খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান যুবদলের সভাপতি।
এসময় শরীয়তপুর জেলা যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে
