ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ ১১:০৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ৫০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে এবং দুপুর ৩টায় বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

 

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় তিস্তা আবারো ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

 

পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখির খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।

 

 

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিস্তার পানি দুইদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে। এতে আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে রান্না-বান্না খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

 

একই ইউনিয়নের ছোটখাতা চরের বাসিন্দা সুখতারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে প্রচণ্ড গতিতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। নদীতে শোঁ শোঁ শব্দ তৈরি হয়। ঘরে পানি উঠেছে, পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে আছি আমরা। রান্নাও বসাতে পারিনি।

 

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছি। বন্যা মোকাবিলায় আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক আছি।

 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।