ঢাকা, সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

তৃতীয়ধাপের নির্বাচনে কুষ্টিয়ায় নৌকার ভরাডুবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ ১১:৪৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে রবিবার ( ২৮ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার বৃহত্তর উপজেলা দৌলতপুরের ১৪ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়জয়কার। মোট ১৪টি ইউনিয়নের মনে ৪ জন নৌকা প্রতীক একজন বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র বাকী ৯ জন বিদ্রোহী।  নির্বাচিতরা হলেন প্রাগপুর ইউনিয়নে- আশরাফুল উজ্জামান মুকুল সরকার-নৌকা,  আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নে আব্দুল বাকি -আনারস, হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নে সেলিম চৌধুরী- নৌকা, চিলমারী ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান -মটর সাইকেল
, রিফায়েতপুর ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ বাবলু -
মোটরসাইকেল , খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নে জুলমত হোসেন - বিদ্রোহী  পিয়ারপুর ইউনিয়নে সোহেল রানা বুলবুল -চশমা,  ফিলিপ নগর ইউনিয়নে নঈম উদ্দিন সেন্টু –চশমা,  রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে সিরাজ মন্ডল - নৌকা,  মরিচা ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম - বিদ্রোহী, দৌলতপুর সদর ইউনিয়নে মহিউদ্দিন বিশ্বাস- নৌকা,  বোয়ালিয়া ইউনিয়নে খোয়াজ হোসেন- চশমা, আড়িয়া ইউনিয়নে হেলাল উদ্দিন- মোটরসাইকেল এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে মুয়াআনারুল কবির মিন্টু-  আনারস প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।
রবিবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়ে চলে একটানা ৪ টা পর্যন্ত। সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক। সরোজমিনে ঘুরেও দেখা যায় প্রতিটা কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন। সবাই সুশৃঙ্খল ভাবে ভোট প্রদান করছে। কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিলো সতর্ক। ভোটের আগে আড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের একনেতা ভোট বক্তব্য নিয়ে ভোটে বাধা সৃষ্টির যে সম্ভাবনা মনে করছিলো সাধারন মানুষ, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নেওয়ায় সে সম্ভাবনা আর সত্যি হয়নি। মোট ১১০ টি কেন্দ্রের ৮০ টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা দিলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  সকল ইউনিয়নে শান্তিপ্রিয় ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মাঝে আড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা মার্কায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোট সুষ্ঠু ভাবে শেষ হলেও ভোটের ফলাফল মেনে নিয়ে না পেরে রিফায়েতপুরে বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকের মাঝে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ভোটের আগের রাত থেকে উপজেলায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার মোতায়েন ছিলো। জেলা পুলিশ সুপার ঘোষনা দিয়েছিলেন, ব্যালট নিয়ে কেউ টালবাহানা করলে বুলেট চালবে। এদিকে কোন বাধা ছাড়া সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি সাধারন ভোটাররা। এদিকে উপজেলায় নৌকার এই ভরাডুবি সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন দায়িত্বশীন আওয়ামী লীগ নেতা কথা বলতে রাজি হয়নি। কোন কোন কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় ৩ ভোট ৫ পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাধারন কর্মী।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান,উপজেলার সকল ইউনিয়নে ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ আসেনি।