“সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় হোক মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বান্দরবানের থানচিতে যথা যোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বৃহস্পতিবার (১৬ই ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। থানচিতে এই দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিণারে ৩১বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসটি সূচনা করা হয়। এরপর শহিদ মিনারে দল মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনগুলো শহিদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৮:৩০ ঘটিকা সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করা মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এই দিবস উপলক্ষে দিন ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী, শিক্ষার্থী, নারী ও সুধীজনের অংশগ্রহনে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানোসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতার স্বপের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতাউল গনি ওসমানী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহাকারী কমিশনা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ, থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্বীপ রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জ্বামান মুরাদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আরেফিন সবুজ ও থানচি উপজেলা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আক্কেল আলি প্রমুখ।
এ সময় বক্তাগন বলেন, ন’মাস দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বীরবাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন সূর্য নতুন দিন। ডিসেম্বর ১৬ তারিখ সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সুচিত হল মুক্তিযুদ্ধের শেষ বিজয় অর্জন। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত ও দুই লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের ইজ্জত বিনিময়ে বিজয় উদীত হয়ে আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবণজয়ন্তী উদ্যাপনের সুযোগ পেয়েছি। এই অর্জন ধরে রাখতে সবাইকে দেশ প্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে।
বিকাল ৩:৩০ ঘটিকা সময়ে মাননীয় প্রধানন্ত্রী কর্তৃক বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অধিদপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়।