ঢাকা, বুধবার ১ মে ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

দিরাইর এর গ্রাম পুলিশকে হত্যার হুমকি

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৩:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবেস ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিষদে কর্মরত এক  গ্রাম পুলিশকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দামকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

 এ ঘটনায় গত ২০ ডিসেম্বর সরমঙ্গল গ্রামের মৃত মনফর উল্ল্যাহর ছেলে আবুল কালাম পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলসহ আরো ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে এই লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। 

 

অভিযোগপত্রে জানা যায় ঘটনার দিন দুপুরে এই গ্রাম পুলিশ পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল তাকে দেখেই মারতে তেড়ে আসেন এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দামকী দিচ্ছেন মর্মে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।  

 

অভিযোগ সূত্রে আরো উল্লেখ করা হয়,গত ১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা বিরোধী কুখ্যাত চিহিৃত রাজাকার পূত্র মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল ঐ জাতীয় দিবসেও পরিষদের কমপ্লেক্স ভবণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নি। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই গ্রাম পুলিশ সদস্যর বাড়ি হওয়ায় কয়েকজন সাংবাদিক গত  ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের এই দিনে পরিষদের কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার  কারন জানতে চান এবং আমার বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আমি কেন বক্তব্য দিলাম এই কারণে চেয়ারম্যান ও তার ২/৩জন সহযোগী আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনেও দিবসে সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বর্তমানে এই গ্রাম পুলিশকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন খোজেঁ বেড়াচ্ছেন কিন্তু তিনি এমন হুমকি দামকীতে প্রাণেরভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

 

এ ব্যাপারে সরমঙ্গল ইউপির গ্রাম পুলিশ  আবুল কালাম অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের নিকট তিনি তার নিরাপত্তা বিধানসহ এই রাজাকার পূত্র ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। 

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল (মোবাইল নং- ০১৭১৫০২০৪৫০) তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে অস্বীকার করেন। 

 

এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদুর রহমান খন্দকার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তদন্তে প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।