ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুদক কার্যালয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রী-সন্তানরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

দুদক কার্যালয়ে এসেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানরা। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তারা দুদক কার্যালয়ে যান। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর কথা রয়েছে। 

 

এই বিষয়ে শুরুতে কোনো বক্তব্য দেয়নি দুদক। তবে জাফর আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

 

দুদক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সম্পদের হিসাব দিতে চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানদের তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৪ আগস্ট কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন তাদের আলাদা চিঠি পাঠান। চিঠিতে এমপি জাফর আলম, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তুহিন আলম ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই দিন সময় চেয়ে আবেদন করলে আজ ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে দুদক। 

 

দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, জাফর-শাহেদা দম্পতি ও তাদের দুই সন্তানকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজেদের সম্পদের বিবরণ দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

দুদকের দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য জাফর আলমের ক্ষমতা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে স্ত্রী শাহেদা বেগম সরকারি জমি, চিংড়ি ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্রে তার অনুপস্থিত থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়।

 

 

 

স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের অনুসন্ধানকে ‘চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য জাফর আলম। 

 

এর আগে গত ২১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খান মো. মাজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের সম্পদ তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই স্মারক সূত্রে উল্লেখ করা হয়, শাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।