ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধৈর্যের সঙ্গে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে: ডা. তাহের

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৯ অক্টোবর ২০২৪ ০১:২৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের জন্য মূল পথনির্দেশ হলো অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ইসলামি আদর্শে অবিচল থেকে, সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে সমাজে সঠিক পরিবর্তন আনা যায়। আমাদের ধৈর্য, সাহসিকতা, নৈতিকতা ও চারিত্রিক উৎকর্ষতার মাধ্যমে এক মানবিক শিক্ষাঙ্গন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসালাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের একজন দায়িত্বশীলকে প্রতিটি দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ হতে হবে। নৈতিকতা, জ্ঞান, শারীরিক শক্তি, সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও সাহসিকতায় যেন সে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখে এবং এক আদর্শ দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে ওঠে। এই গুণগুলো ছাত্রসমাজের কাছে তাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। ছাত্রশিবিরের প্রতি তাদের আকর্ষণ বাড়াবে এবং এর মাধ্যমে যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে। ইসলামী আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে তার দায়িত্বশীলতায় ছাত্রশিবির আরও শক্তিশালী হবে।’

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের যে মহৎ গুণ রয়েছে, সেগুলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে হবে সৎগুণ ও আদর্শের মাধ্যমে, পেশিশক্তি দিয়ে নয়।’

সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দিনে দেশের সমৃদ্ধি, ছাত্রসমাজের অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রশিবিরকে নেতৃত্বদানের ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রশিবিরের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা রয়েছে, তা পূরণে আমাদের সবাইকে আরও নিবেদিত কাজ করতে হবে। ইসলামি মূল্যবোধ ও মানবিকতার ভিত্তিতে এক সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’