
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) ডাক বিবাগের এজেন্ট প্রতিষ্ঠান নগদ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে করা রিটটি খারিজ করে রায় (রুল ডিসচার্জ) দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
রোববার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মুস্তাফিজুর রহমান খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবুল কালাম খান ও মো. জামিলুর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হলো।
প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে রুল জারি করে।
রুলে ২০০৪ সালের পরিশোধ ও নিষ্পত্তিব্যবস্থা আইনের ৩১(১) ও (২) ধারা প্রতিপালন না করে নগদে প্রশাসক নিয়োগের গত ২১ আগস্টের মেমো (আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
আজকের রায়ের পর আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি জানান, নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের আগে কারণ দর্শানোর জন্য ডাক বিভাগকে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডাক বিভাগ নোটিশের জবাব দেয়। এ ক্ষেত্রে রিট আবেদনকারীকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়। যেহেতু নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট, তাই রিট আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ হলে তিনি সেখানে আবেদন করতে পারতেন। সেটি তিনি করেননি। এসব দিক বিবেচনায় রিট গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তা খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককের নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ বলে প্রমাণিত হলো।
রিট আবেদনকারীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবী মো. জামিলুর রহমান।
বায়ান্ন/আরএস