বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মত নিয়েই রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। ঐ ৩১ দফার সঙ্গে নতুন প্রস্তাব মিলে যাবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে লেকশোর হোটেলে ‘বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই অর্থাৎ প্রায় দুই বছর আগে বিএনপি যে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল তা আবার সবার সামনে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মত নিয়েই এই রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নতুন যে প্রস্তাব দেওয়া হবে, এর সঙ্গে ৩১ দফা মিলে যাবে, মিলতে হবেই। কেননা, এটা জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার ভাবনা থেকেই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের ভয়ঙ্কর দানবকে সরিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে। সে কারণে দুই বছর আগের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা নতুন করে তুলে ধরেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
৫৩ বছরেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তৈরি করা যায়নি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমার নাতি এখনও আমাকে জিজ্ঞাসা করে, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কেন আমরা এত সংঘাতের সম্মুখীন হচ্ছি এবং এবং কেন ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পারিনি।
সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন শামা ওবায়েদ ও ফারজানা শারমিন পুতুল।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে