ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে কৃষি বিজ্ঞান প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ কৃষি পাঠাগার

বগুড়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

অন্ধকারকে দূর করে আলোরপথ দেখায় বই। আর সেই বইটি যদি হয় কৃষি ভিত্তিক বই তাহলে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি উৎপাদনমুখী কাজে লাগে। কৃষির জ্ঞান-প্রযুক্তি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমনই এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবুর উদ্ভাবনী কৃষি সেবার আওতায় গঠন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ কৃষি পাঠাগার। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চত্ত্বরে সপ্তাহে একদিন করে বসে এই কৃষি পাঠাগার। প্রায় ৫০০ শতাধিক বই এবং পুস্তিকার সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করেছে পাঠাগারটি। এই পাঠাগারে বসে বই পড়ার যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি বাড়িতে নিয়ে গিয়েও বই পড়া যাবে। তবে সর্বোচ্চ সাতদিন পর তা আবার ফেরত দিতে হবে। এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে কৃষিতে আগ্রহী করার জন্য এই ভ্রাম্যমাণ কৃষি পাঠাগারটি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ক্যাম্পাসেও যাবে এবং তাদের কৃষি বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষে কাজ করবে। উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে কৃষিতে আগ্রহ তৈরি করা এবং অর্জিতজ্ঞান উৎপাদনমুখী কাজে লাগাতে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ কৃষি পাঠাগার। আপাতত ৫০০ শতাধিক বই এবং বুকলেট নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। সময়ে সময়ে আরও নতুন নতুন এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বই সংযোজন করা হবে। কৃষি পাঠাগারে উপস্থিত কৃষক আফজাল হোসেন জানান, এরকম পাঠাগার থাকায় আমরা খুব সহজেই কৃষির নানা জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। চাকলমা গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জাব্বির হোসেন জানান, এ রকম একটি চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা খুবই আনন্দিত। খুব সহজেই আমরা আধুনিক কৃষির নানাদিক জানতে পারবো। উল্লেখ্য উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু দায়িত্বপালনের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের কৃষিতে বেশ কিছুই নোভেশন তৈরী করেছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘প্ল্যান্টডক্টর মোবাইলটিম’, ‘ছাদ কৃষিলার্নিং সেন্টার’, ‘ফারমার্স আইটি স্কুল’এবং অনলাইন কৃষি সেবা চ্যানেল‘কৃষকের গল্প’।