সেতু থাকলেও নেই সংযোগ রাস্তা। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না করায় সেতুটি কোনো কাজে তো আসছেই না উল্টো এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া ও কাঠালিয়াসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা যায়, এলজিইডির অর্থায়নের ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে হুরুয়া ও কাঠালিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে অদ্যাবধি সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেতুটি অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই তালবাহানা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সংযোগ সড়কের অভাবে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে না অসুস্থ রোগীসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে সেতুতে সংযোগ সড়কটি চালু না করে দেওয়াই তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্রিজের ঠিকাদারের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।
অপরদিকে সংযোগ সড়কটির কাজ শেষ না করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুষছেন ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি বলেন, এ ব্যাপারে আমিও আমার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতেছি। এলাকার মানুষের ভোগান্তি নিরসনে আমিও চাই এ কাজটা যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়।
নবীনগর উপজেলার এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আল আমিন জানান, গত বছর সেতুটির কাজ শেষ হলে বর্ষার পানি চলে আসে, যার ফলে সংযোগ সড়কের কাজটি করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে গতকাল ঠিকাদারের সাথে আমার কথা হয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। আর যদি আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু না করে তাহলে পরবর্তীতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
নবীনগর উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমার ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। কাজ শেষ না করায় আমরা ঠিকাদারের পুরো বিল দেইনি। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজটি শুরু করে পুরো কাজটি সম্পন্ন করা হবে।