কিশোরগঞ্জ জেলায় নিকলী উপজেলা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। চলতি মাস ও বৈশাখ মাসে বোরো ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনই বোরো ধান কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি চাষিরাও। ধানের ভালো ফলন পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন বুনেছেন এখানকার কৃষক।
দেখা গেছে, মাঠে মাঠে বোরো ধান কাটা হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কাজ করছেন। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউ ধান বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউবা জমিতে ও বাড়ির উঠোনে ধান মাড়াই করছেন।
চলতি মাসেই নিকলী উপজেলায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। অপরদিকে মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকরাও সন্তষ্ট। তবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে কৃষি শ্রমিক কম পাওয়া যাচ্ছে। দিন হাজিরায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক।
নিকলী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, নিকলী উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ করা হয় । চলতি বছরে ফলন ভালোই হয়েছে।
কৃষক জলিল মিয়া বলেন, সারের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক সংকটের মধ্যেও ধান চাষ করেছি। গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা লেগেছে। এবার প্রায় তিন গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক সংকট। বর্তমানে ধানের দাম তুলনামূলক যদি ভালো হয় তাহলে আমার খুশি।