ঘুমের ট্যাবলেট, নেশা জাতীয় দ্রব্য ও চিনি গুলিয়ে তৈরি করা হয় নকল ফেনসিডিল। এর পর সেগুলো ভরা হয় পুরাতন ফেনসিডিলের বোতলে। মুখের ছিপি মেশিন দিয়ে আটকিয়ে বিক্রি করা হয় এলাকার উঠতি যুবকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষদের মাঝে।
যশোরের বেনাপোলে এ রকম একটি একটি নকল ফেনসিডিল কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। বিশেষ সোর্সের তথ্যে বুধবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুর রোডের একটি তিন তলা ভবনের নিচ তলায় ওই নকল কারখানায় অভিযান চালায় পোর্ট থানা পুলিশ।
এ সময় নকল ফেনসিডিল, বিপুল সংখ্যক খালি বোতল ও ফেনসিডিল তৈরির নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আটক হয় ফেনসিডিল কারিগর মনিরুজ্জামান কালু (২৫)। সে বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে।
যশোর জেলা পুলিশ ও পোর্ট থানা সূত্র জানিয়েছে, গোপন সংবাদে জানা যায় বাহাদুরপুর রোডের একটি বাড়িতে
নকল ফেনসিডিলের কারখানায় ফেনসিডিল তৈরি করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পোর্ট থানা পুলিশের একটি দল বেনাপোল বাহাদুরপুর রোডের গোলাম মোর্শেদের তিন তলা বাড়ির নিচ তলায় অভিযান চালিয়ে একটি ফেনসিডিল কারখানার সন্ধান পান। ওই কারখানা থেকে পুলিশ ৯৭ বোতল ফেনসিডিল, ৩শ’ ২৮ পিস খালি ফেনসিডিলের বোতল, ৫ লিটার তরল পদার্থ, একটি কসটেপ ও এক কেজি চিনিসহ নকল ফেনসিডিল তৈরির নানা সামগ্রী জব্দ করেছে। এ সময় কারখানায় ফেনসিডিল তৈরিরত অবস্থায় পুলিশ মনিরুজ্জামান ওরফে কালুকে আটক করে।
আটক কালু জানায়, আমি নিজেই এ কারখানা চালাই। ভারত থেকে কড়াকড়ির কারণে ফেনসিডিল আনতে না পারায় এ পদ্ধতি তৈরি করেছি। এতে অল্প খরচে লাভ বেশি। এলাকারসহ বাইরের উঠতি বয়সের যুবেকরা কিনে নিয়ে নেশা করছে।
এ বিষয়ে বেনাপোলে পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান জানিয়েছেন, আটক মনিরুজ্জামান কালুর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ অবৈধ কারবারের সাথে আর কারা কারা জড়িত আছে সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।