ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর'র দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

আর আই রাজিবঃ | প্রকাশের সময় : রবিবার ৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর


২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর”র শীর্ষ নেতা তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯)’কে উগ্রবাদী বই ও লিফলেটসহ রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।


গ্রেফতারকৃত তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিজবুত তাহরীর” এর শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রচারের নিমিত্তে জঙ্গিবাদী লিফলেট ও পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা-স্কুলের মেধাবী ছাত্র তথা তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ জনগণকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার বিরোধী কর্যক্রমের জন্য ২০১৫ সালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে থেকে দীর্ঘ দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯) এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ০১ টি মামলা রয়েছে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ০২ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষনার সময় সে পলাতক ছিল। উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে।     
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ একটি আভিযানিক দল গতকাল ০৮ এপ্রিল (শনিবার)  বিকালে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” শীর্ষ নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯), পিতা-নওশাদ রেজা, থানা ও জেলা-লক্ষীপুর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর কাছ থেকে সরকার বিরোধী ২৩ টি লিফলেট, ০৩ টি উগ্রবাদী বই, ০১টি কম্পিউটার (০১ সিপিইউ ও ০১টি মনিটর) ও ০২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে। তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯) ছাত্রজীবন থেকে “হিযবুত তাহরীর” সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়। ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে উক্ত মামলায় ০১ বছর জেল খাটার পর জামিনে বের হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিজেকে আত্মগোপনে রাখার জন্য মালয়েশিয়াতে চলে যায়। মালয়েশিয়া ০২ বছর থেকে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে পুনঃরায় “হিযবুত তাহরীর” সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পরে। “হিযবুত তাহরীর” শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকায় বাংলাদেশ সরকার বিরোধী লিফলেট ও উগ্রবাদী বই প্রচার ও তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উৎসাহিত করে আসছিল।