ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯শে মাঘ ১৪৩১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বিধান ভৌমিক, নোয়াখালী | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০১:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রশীদ তারেকের অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চৌমুহনী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুইপাশে বহু যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়। তাদের এক দফা এক দাবি কর্মসূচি সফল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, মাহবুবুর রহমান তারেক ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী মদনমোহন স্কুলে যোগদান করার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িতে পড়েন। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তিনি স্বেচ্ছাচারীরতার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করেন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তারেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর বেগমগঞ্জের সাবেক এমপি মামুনুর রশিদ কিরণের পা চাটা গোলাম আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১২ টা ৪০মিনিটে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রশীদ তারেক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সড়ক অবরোধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিলনা। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট রহিমের নাম প্রস্তাব করায় প্রতিপক্ষের লোকজন বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমার অফিসে হামলা ভাংচুর চালায়। আগেও আমার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। একাধিক তদন্তে দুর্নীতির কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। দুইজন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে আছে। 

জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আধা ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে জানতে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আরিফুর রহমানের মুফোঠোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ