জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহীদদের স্পরণে পটুয়াখালীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান, সেনা বাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর ফয়সাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোশাররফ হোসেন, গন অধিকার পরিষদের আহবায়ক নজরুল ইসলাম লিটু৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠের পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
গনঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আহতরা বলেন, গুলির লাগার পর ভালো চিকিৎসা না পেয়েও বেঁচে ফিরে এসেছি আল্লাহর রহমতে। তবে সেই দিনগুলোর স্মৃতি ভুলতে পারি না। শিশুদের দেখেছি ইট হাতে প্রতিরোধ গড়তে। এত মানুষের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়। সন্তানের আত্মত্যাগের সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে একই ভাবে জেলার সকল শহীদদের কবর বাধানো সহ শহীদদের বাড়ির সামনের রাস্তাটিকে শহীদের নামে নামকরনের ঘোষনা দেন জেলা প্রশাসক।
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ৭ হাজার ও আহতদের ৩ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়। সরকারি তথ্য মতে এ পর্যন্ত জেলায় ২৪ জন নিহত ও ৬৪ জন আহতের তালিকা করা হয়েছে। আলোচনা শেষে শহীদদের স্মরণে দোয়া মোনাজাত করা হয়।