পটুয়াখালীতে বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। আজ ২০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় শহরের বনানীর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের হামলায় আহতরা হলো সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া আহমেদ, শ্রমিকদলের বাদশা, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি ভিপি শাহিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সীমা, সদস্য কহিনুর, সালেহা বেগম সহ আরো একজন। এসময় সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া আহমেদকে আশংকাজনক জনক অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা এবং বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবীতে দেশব্যপী কর্মসূচীর অংশ হিসাবে জেলা বিএনপি এ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। আমাদের কর্মসূচি ভাল ভাবেই চলছিলো, হঠাৎ ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা দা, হকস্টিক ও জিআই পাইপ নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং জাকারিয়াকে সু চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া বলেন, সকাল বেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অফিসের মধ্যে কর্মসূচী পালনের আয়োজন করিছি সেখানেও সরকারের লালিত ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালালো। আমাদের ৮ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো। এটাই হলো বর্তমান সরকারের চরিত্র। এর আগে আমরা রাস্তায় অনশন কর্মসূচী পালন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের অনুমতি দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে হামলা করার পরও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা আবার এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরদিকে এ ঘটনার পর বেলা ১১টার দিকে সেই কার্যালয়ে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান কর্মসূচী শুরু করেন।
এছাড়াও গনঅনশন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সফিউল বাশার উজ্জ্বল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা ফারজানা রুমা আক্তারসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সকল নেত্রীবৃন্দ।