ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪, ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের লাইন যেন মৃত্যুফাঁদ

মোঃ জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
বাড়ি বসত ঘরের পেছন দিয়ে যাওয়া ৬ হাজার ৩৫০ ভোল্টের (সিঙ্গেল ফেজ হাই ভোল্টেজ এইচটি লাইন) লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়া কোথাও বসতঘরের পেছন দিয়ে, কোথাও মানুষের আসা-যাওয়ার পথে হাত ছোঁয়া দূরত্বে বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ লাইন রয়েছে। আবার কোথাও পিডিবি’র কয়েক যুগ পুরোনো স্টিলের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন টানানো রয়েছে। এসব খুঁটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
 
বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে। দীর্ঘদিন থেকে এই লাইনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে এসব খুঁটি ও বিদ্যুৎ লাইন সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
 
সরজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ শাহবাজপুর, বড়লেখা পৌরসভা, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইন ও পিডিবি’র সময়ের জরাজীর্ণ স্টিলের খুঁটির সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন টানানো আছে। এরমধ্যে দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের উত্তর ঘোলষা (খদানগর) এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের বসতঘরের পেছন দিয়ে যাওয়া ৬ হাজার ৩৫০ ভোল্টের (সিঙ্গেল ফেজ হাই ভোল্টেজ এইচটি লাইন) লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বছর দেড়েক আগে সিঙ্গেল ফেজ হাই ভোল্টেজ এইচটি সঞ্চালন লাইনটি ঝুলে মাটি স্পর্শ করে। তখন বাড়ির লোকজন বাঁশের খুঁটি দিয়ে সঞ্চালন লাইটি কোনোমতে উঠিয়ে রাখেন।
 
তারপরও হাত ছোঁয়া দূরত্বে বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি আছে। অন্যদিকে বড়লেখা পৌর শহরের গাজিটেকা (বাঁশতলা) জামে মসজিদ এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের এসপিসি (পাকা) খুঁটির পরিবর্তে পিডিবি’র আমলের জরাজীর্ণ স্টিলের খুঁটি দিয়ে এলটি বেয়ার (খোলা তার) সঞ্চালন লাইন টানানো হয় প্রায় এক দশক আগে। পাশপাশি পিডিবি’র আমলের জরাজীর্ণ স্টিলের খুঁটি দিয়ে এলটি ডুপ্লেক্স (কভার তার) লাইন দিয়ে ওই এলাকার ব্যবসায়ী নুরুদ্দিন ও মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। জরাজীর্ণ এই খুঁটিগুলো দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে লাইন টানানো থাকলেও তা রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে কোনো খুঁটি ভেঙে পড়েছে। কোনোটি হেলে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
 
2-745
 
এ বিষয়ে বাসিন্দারা বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের নামে প্রায় প্রতি সপ্তাতে একদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুহেল রানা চৌধুরী বলেন, সব জায়গায় তদারকি করা সম্ভব হয় না। অভিযোগ পেলে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ লাইন নজরে আসলেই তা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু লাইনের সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে, এগুলো সারানোর জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়েছি।