ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন ডলার ব্যবহারের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৫:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেগাপ্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তার এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়।

 

ড. ইউনূস বলেন, পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেগাপ্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে রাশিয়া এবং চীন থেকে প্রাপ্ত ঋণের সুদের হার কমানো এবং ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সকল উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকল অর্থনৈতিক সূচক এবং পরিসংখ্যানের প্রকৃত মান বা সংখ্যা প্রকাশের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জিডিপি, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদির সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ, প্রাক্কলন এবং প্রকাশের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অর্থ বিভাগের রাজস্ব আয় সম্পর্কিত উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত রপ্তানি আয় নিরূপণ এবং প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমাইজেশনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার নিমিত্ত ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সভা করা হয়েছে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান মজুদ ও ঘাটতি মূল্যায়ন করে ও ভবিষ্যৎ চাহিদা পর্যালোচনা করে স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে বিভিন্ন জটিলতা দূরীকরণ, বন্দর ও বড় মোকামসহ পরিবহন ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য তেল, চিনি, ডিম ও মাংস উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সভা ও মতবিনিময় করা হয়েছে।