ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পাহাড় সমান অভিযোগ থাকা সত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেই তাকওয়া পরিবহনের বিরুদ্ধে

গাজীপুর প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ ০৭:২২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস এলাকায় গাজীপুর টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেপরোয়া দুই তাকওয়া পরিবহনের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন আব্দুর রহিম নামে (৫৫) এক ব্যক্তি। মৃত আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি, হোতাপাড়া, থানা শার্শা, জেলা যশোর তিনি রাজমিস্ত্রির কাজের সূত্রে কোনাবাড়ী বাসা থেকে বাইপাস আরৎ সংলগ্ন আসেন। দুই পরিবহনের চাঁপাই পৃষ্ঠ হয়ে মারা যান আব্দুর রহিম। ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, ভোগড়া বাইপাস এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজের সূত্রে আসা আব্দুর রহিম রাস্তা পারাপার হওয়ার সময়, বেপরোয়া দুইটি তাকওয়া পরিবহন উল্টো পথে আসছিলো, দুইটা  পরিবহনের প্রতিযোগিতার কারণে আব্দুর রহিম পিষ্ট হয়। এবং রক্ত ক্ষরণ হয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে মারা যায় । রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় আরো দুই পথচারি দৌড়ে বাঁচতে পারে। পরে সাধারণ জনতা একটি পরিবহন আটক করেন এবং অন্য আরেকটি পরিবহন বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যায়। পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপার কর্মরত শ্রমিকরা এখনো পলাতক। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী বলেন, বেপরোয়া এই তাকওয়া পরিবহনের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে নিমিষেই প্রাণ চলে যায় পথচারীদের। তাদের মেধাশক্তি ও দক্ষতা না থাকার কারণেই প্রতিনিয়তই এরকম দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের প্রতিযোগিতা নিয়মিত চলে। বয়স না থাকার সত্বেও চিন্তা ভাবনা ছাড়াই মাদক সেবনকারী দেরকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাকওয়া পরিবহন। ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন কমবয়সী ছেলে ও নেশাগ্রস্ত থাকে জানার পরেও গাড়ি ও চাবি বুঝিয়ে দেন মালিকপক্ষরা। এই পরিবহন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা থেকে শুরু করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন অনেকে মিলে। আব্দুর রহিমের আত্মীয় স্বজন বলেন, মহাসড়ক পার হওয়াটা কি আমাদের অপরাধ৷ নাকি গ্রাম থেকে শহরে এসে পেটের দায়ে কর্ম করাটা অপরাধ। আমরা আগেও শুনেছি, বেপরোয়া তাকওয়া পরিবহনের কারণে অনেক পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনকে হারিয়েছেন। আজ আমাদের পালা আমার ভাইকেও হারালাম একমাত্র বেপরোয়া তাকওয়া পরিবহনের প্রতিযোগিতার কারণে। তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। বাসন থানা পুলিশ এসআই সুরুজ্জামান জানায়, আমরা জানতে পেরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই লোকটি মারা গেছে তারপর ১১-০০৮২ নাম্বারের তাকওয়া পরিবহনটি আমরা আটক করি। এবং লাশটি পোসমাডাম এর জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময় বিকেলে আব্দুর রহিম এর আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই পক্ষ মিলে বাসন থানায় বসে বিষয়টি তাদের ভিতরেই