টুঙ্গিপাড়ায় প্রটোকল ভেঙে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার হেঁটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুদিন সফরের শেষ দিনে আজ রোববার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান তিনি।
এসময় উষ্ণ অভ্যর্থনা আর স্লোগানে ও মিছিলে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বরণ করে নেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে। সেখানে বক্তব্য রাখেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীদের কথাও শোনেন সরকার প্রধান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই পর্যন্ত আসা। এই সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি গ্রাম এখন আর গ্রাম নেই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছি। এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে সবাই। বালাদেশের সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। মাইলের পর মাইল কাদা মাটি মাড়িয়েছি, নৌকায়, সাম্পান, ট্রলার, ডিঙি নৌকা, ভ্যান কোনটায় চড়িনি? সবকিছু তে আমার চড়া আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, দেখেছি। আর সেটা বুঝে বুঝে উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে আমরা একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছি।
এর আগে শনিবার সকালে দুদিনের সফরে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রীকে। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
এরপর কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী। পরে কোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যান প্রধানমন্ত্রী। রাতে সেখানেই তিনি রাত্রীযাপন করেন। দুপুরে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও খাবার শেষে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বলে কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে সঙ্গে ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।