রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর সিটি পরিষদ ও নগরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে আগামী পাঁচ বছর নগরীর বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর অত্যন্ত খুশি। আমার ওপর আস্থা রাখায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। তিনি রংপুরের উন্নয়নে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর সিটি করপোরেশনে ফিরে মেয়র সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকা থেকে সড়ক পথে রংপুরে ফিরলে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভক্তরা মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করে নেন। নগরীর দমদমা ব্রিজ এলাকা থেকে মেয়রকে ফুলে ফুলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সিক্ত করেন নগরবাসী। এ সময় নিজের কনিষ্ঠ কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ির খোলা হুডে দাঁড়িয়ে নগরবাসীকেও শুভেচ্ছা জানান তিনি।
পথে পথে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিকেলে সিটি করপোরেশনে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে মেয়র মোস্তফা বলেন, নগরবাসীর আস্থার মান রক্ষার চেষ্টা করব। আমি মনে করি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমি আরও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। বিগত মেয়াদের যে সব কাজ বুঝতে দেরি হয়েছে, সেসব কাজ বাস্তবায়ন করতে এখন সময় লাগবে না।
রসিক মেয়র বলেন, নগরীর উন্নয়নের জন্য আমি এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিল করেছি। চিকলী পার্কের জন্য ৪৯ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়ন নিয়েও একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। বিগত সময়ে করোনার জন্য শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার বিভাগীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেতু বন্ধনের মাধ্যমে আমরা শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়ন করব।
এ সময় রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াছির বলেন, মেয়র মোস্তফার কাজ করার স্পৃহা রয়েছে। তিনি বিগত সময়ে মেয়র ছিলেন। তখন তিনি কাজেই নিজেকে সিটির উন্নয়নেই ব্যস্ত রাখতেন। তার হাত ধরে রংপুর সিটি করপোরেশনের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি আগামী পাঁচ বছরে রংপুরকে মেগা সিটিতে পরিণত করতে কাজ করে যাবেন।
এ সময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, মহানগর ছাত্র সামজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মাহাবুবার রহমান বেলালসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
এছাড়াও রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, সচিব উম্মে ফাতিমা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবু তালেব সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী, মুহাম্মদ আনিচুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জাামান ইবনে তাজ, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।