ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বগুড়ার গাবতলীতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা: ২ স্কুলছাত্র গ্রেফতার

বগুড়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৯ নভেম্বর ২০২১ ১২:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

 মুক্তিপণের দাবিতে বগুড়ার গাবতলীতে সানজিদা খাতুন (৪) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার করেছে দুই স্কুল ছাত্র। পুলিশ ওই দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ওই স্কুল ছাত্র হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে, ভারতীয় টিভি চ্যানেলে ক্রাইম পেট্রল দেখে সেই কায়দায় ওই শিশুকে অপহরনণ এবং হত্যা করেছে তারা। গ্রেফতারকৃত রিয়াদ (১৫) নবম শ্রেণির এবং শুভ (১৪) ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। অন্যদিকে নিহত সানজিদা খাতুন গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের লাঠিমারা ঘোনপাড়া গ্রামে শাহীন প্রামাণিকের মেয়ে। গ্রেফতারকৃত দুজনই একই গ্রামের বাসিন্দা। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয় সানজিদা। পরিবারের ধারণা খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে গেছে। এ সন্দেহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুকুর তল্লাশি করে না পেয়ে ফিরে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার আগে গ্রামের এক নারীর মোবাইলে ফোন করে সানজিদাকে অপহরণের কথা জানিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই নারী বিষয়টি সানজিদার পরিবারকে জানালে সানজিদার বাবা সেই নম্বরে কল করলে তার কাছেও মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায় ৫০ হাজার টাকা পেলে সানজিদাকে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানায় অপহরণকারীরা। ৫০ হাজার টাকা রাতেই গ্রামের একটি কালভার্টের নিচে রেখে আসতে বলা হয়। সানজিদার বাবা বিষয়টি গাবতলী থানায় জানায়। রাতে গাবতলী থানা পুলিশের একটি দল কালভার্টের অদুরে ওঁৎ পেতে থাকে। এসময় অন্ধকারে কালভার্টের কাছে এক ছেলেকে ঘুরতে দেখে তাকে আটক করা হয়। আটক রিয়াদকে সানজিদার বাবা চিনতে পারেন। সে একই গ্রামের উজ্জলের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ রিয়াদের বাড়ি তল্লাশি করে একটি স্টিলের বাক্সে সানজিদার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ কদমতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে শুভকে গ্রেফতার করে। শুভ লাঠিমারা ঘোনপাড়া গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর পালিয়ে নানার বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত দুইজন হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সানজিদাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সবার অজান্তে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে নিহত সানজিদার বাবা মামলা দায়ের করেন।