বগুড়ার শিবগঞ্জে ভূমিখেকোদের দৌরাত্বে দিন দিন বিলিন হচ্ছে কৃষি জমি। দেখেও যেন দেখার কেউ নেই!
সারা উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ১০-১২টি পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে রাতের আধারে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চলে মাটির টপ সোয়েল কাটার অবৈধ ব্যবসা।
এসব ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে প্রশাসন ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনাসহ নিয়মিত মামলাও দায়ের করে।
এতো অভিযান ও মামলা দায়েরের পরেও মাটিখেকোদের যেন কোনভাবেও আটকানো যাচ্ছেনা। এমনটাই জানিয়েছেন একাধিক ভোক্তভূগী।
উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের চককানু (মশামারি) এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চককানু গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (আদম) প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিচক ইউনিয়নের গুপিনাথপুরের জাহাঙ্গীরকে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ৫২ শতাংশ জমি থেকে অবৈধভাবে মাটির টপ সোয়েল গত ৩/৪ দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এর আগেও আদম ঐ এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির টপ সোয়েল অবৈধভাবে বিক্রি করেছে। বড় বড় নেতাদের সহায়তায় আদম কৃষিজমির মাটির টপ সোয়েল অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে।
চককানু গ্রামের কৃষক নূর আলম বলেন, আমি শুনেছি আদম জাহাঙ্গীরের জমির মাটি কিনে নিয়ে ৫ফুট গভীর করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি টপ সোয়েল বিক্রি করছে।
এবিষয়ে আদমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টপ সোয়েল বিক্রির সত্যতা স্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের অবৈধ টাকার লোভ দেখিয়ে বিষয়টি ম্যানেজ করতে বলেন।