বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের সুলতান আহমেদ নামের এক অসহায় স্কুল শিক্ষক সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভাই এবং পরিবারের অন্য লোকজন সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দাবি সোলে নামার মাধ্যমে তাদেরকে জমি লিখে দিতে হবে, আর তা না হলে সব জমির ধান কেটে নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই এক একর জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে ওই সন্ত্রাসীরা, বাকি জমির ধান কেটে নেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। এব্যাপারে শেরপুর থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশের তেমন কোন সহযোগিতা পায়নি অসহায় সুলতান আহমেদ।
এব্যাপারে সুলতান আহমেদ শুক্রবার সকালে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, বগুড়ার শেরপুর থানাধীন ২১১ নং ঘাসুরিয়া মৌজার সিএস ৫০৯/৭৬১ দাগে আর এস ১০১৩ দাগে এক একর ২৯ শতক সম্পত্তিসহ ঘাসুরিয়া মৌজার আরও মোট ৪ একর ৮১ শতক সম্পত্তির মালিক। যাহা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে এবং কবলা দলিল মূলে দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে।
কিন্তু স্থানীয় মৃত রহমত তুল্যার পুত্র মজিবর রহমান, সবেদ আলী, মজনু, আবু সাইদ, মুনসুর রহমান, সালাম, জালাল, মজিবত্রের পুত বাবলু, সবেদ আলীর পুত্র ফরিদুল, (১০) মজনুর পুত্র শাহিন, শরীফ, জালালের পুত্র রাসেল এনামুল, মুনসুরের পুত্র সেলিম, কিশমত তুল্যার পুত্র বেল্লাল শেখ, হাকিম, রইছ, নাসির, বেল্লালের পুত্র রাশেদ, রকি বেল্লালের স্ত্রী শেফালী, মজিবরের স্ত্রী বাহাতন, বাবলুর রোজিনা, মজনুর স্ত্রী শান্তি, শরীফের স্ত্রী মহেলা, সাঈদ এর রুবি, জালালের স্ত্রী আয়েশা, জিনাতের পুত্র আলমগীর, জয়নালের পুত্র রুহুল আমিন, রজব আলীর পুত্র সোবহান, আবেদ আলীর পুত্র আশরাফ আলী, পঞ্চানন্দ এর পুত্র অমুল্য চন্দ্র সকলে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার জমি ধান কেটে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে শেরপুর থানায় অভিযোগ করেও তেমন কোন প্রতিকার পাইনি। পরবর্তীতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সিনিয়র জুডিমিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২৩৯সি/২০২১ মামলা এবং শেরপুর সহকারী জজ আদালতে ৭৯/২০২১ বন্টন মোকর্দ্দমা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের দাবি কোন কিছু বুঝিনা সোলে নামা মূলে তুই আমাদের জমি লিখে দিবি, নইলে তোর সব জমি দখলে নিয়ে ধান কেটে নেব এবং তোকে বাড়ি ছাড়া করবো।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা যেন তেনভাবে জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে তারা সফল না হলে আমাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে।