বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই অফিসেরই চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারি। আহত অবস্থায় ওই কর্মচারি দীর্ঘসময় পড়ে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চত্বরের মসজিদের পাশে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আলমগীর শেখ(৪৮) সদর উপজেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটে।
আহত আলমগীরের জামাতা মাসুদ রানা জানান, সম্প্রতি তার শ্বশুরে সঙ্গে শ্বাশুড়ি সহিদা বেগমের পারিবারিক কলহ হয়। একারণে শ্বাশুড়ি তাঁকে খুজতে উপজেলায় যান। সেখানে তাকে না পেয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ইউএনও’র কাছে বিষয়টি অবহিত করেন। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার শ্বশুরকে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে ইউএনও ও তর গার্ডরা মিলে বেদম মারধর করেন। ওই কক্ষ থেকে তিনি বেরিয়ে কোনমতে মসজিদের সামনে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সেখানেই তিনি দীর্ঘসময় পড়ে ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে তাঁর গাড়িতে করে আহত আলমগীরকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। হাসপাতালে ভর্তির পর জ্ঞান ফিরলে আলমগীর তাদের জানান যে তাকে বেদম প্রহার করার কারণে তিনি বাম হাত ও ডান পা নড়াতে পারছেন না। ডাক্তাররা হাত ও পায়ের এ-ক্সরে করতে বলেছেন।
আলমগীরের মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ‘মায়ের অভিযোগ পেয়ে ইউএনও তা যাচাই না করেই এমন নির্যাতন করেছেন। বাবার কোন দোষ থাকলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তা না করে কেন মারপিট করলেন সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিক বার ইউএনও সমর কুমার পালের মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর মসজিদের সামনে লোকজনের ভিড় দেখে এগিয়ে গিয়ে জানতে পারেন আলমগীর সেখানে পড়ে আছে। সেখানে আলমগীরের মেয়ে ও জামাতাও ছিলো। কয়েকজন কর্মচারি তার মাথায় পানি দিচ্ছিলো। তাদের কাছে শুনতে পারেন যে ইউএনও ও আনসার সদস্যরা আলমগীরকে মারপিট করেছেন। তিনি চেয়ারম্যান) পৌঁছার খবর পেয়ে সেখানে ইউএনও নিজেও যান। সেখানেই আলমগীরের মেয়ে তার কাছে(ইউএনও’র) মারপিট করার কারণে জানতে চাইলে ইউএনও সেখান থেকে চলে যান। পরে আহত আলমগীরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া/২২-৯-২০২২/মোবাইল-০১৭১১১৪১৬৮২/