বগুড়ায় পিতার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনাতলা উপজেলার ছামছুল হকের কন্যা মোছা: শাপলা বেগম। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পিতা গত মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে যে বক্তব্য রেখেছেন তা দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার পিতার ব্যবসা হলো মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তার দেনমোহরানার টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করা। এভাবে তিনি তাকে ভিন্ন দুই জায়গায় বিবাহ দিয়ে মোহরানার টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাত করেছেন। এরপর তার তৃতীয় বিবাহ দেয়ার পর বর্তমান স্বামীর কাছ থেকেও মোহরানার টাকা আদায় করার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। এতে রাজী না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তার মা বেঁচে থাকা অবস্থায় তার পিতা পাঁচ বোন ও মা'র নামে বাড়ীর জমি দানপত্র হিসেবে দলিল করেছিলেন। এরপর তার পিতার দেখানো নির্দিষ্ট জায়গার উপর প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে তিনি বাড়ী নির্মাণ করেন। কিন্তু তার মা মারা যাবার পর তার অপর তিন বোন, ও ফুফাতো ভাই রাজু ভগ্নিপতি সহ পিতার সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা পিতাকে ভুল বুঝিয়ে তাকে বাড়ী ছাড়া করতে ওঠে পড়ে লেগে যায়। এছাড়া তার অপর বোন মোছা: শিমুকেও তার জমি থেকে বঞ্চিত করে।
তিনি বলেন, বাড়ী থেকে বের না হওয়ায় তারা অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে তার স্বামী মো: আশাদুল ইসলামকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এবিষয়ে সোনাতলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১৬ এপ্রিল তার অপর তিন বোন ও ফুফাতো ভাই রাজু এবং পিতা মিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি সোনাতলা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তার বিরুদ্ধেই থানায় মিথ্যা মামলা করেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় প্রশাসন তা খারিজ করে দেন।
অপরদিকে তার অপর বোন মোছা: শিমু আক্তারের নামে সোনাতলা থানায় মিথ্যা মারপিটের অভিযোগ দায়ের করেন।
তারা ফেসবুক আইডিতে ছবি পোষ্ট করে অশ্লীল ভাষা লিখে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় তিনি বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি বলেন, একজন পিতা হয়ে এলাকার মানুষের কাছে তার চরিত্র সম্পর্কে মিথ্যা রটনা চালিয়ে যাচ্ছেন যার কারণে সমাজে মান-সম্মান নিয়ে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা আমার মেয়ে ও ছেলেকে অপরহণ করার হুমকি দেয়। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।