ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় মার্কেটে আগুন, ১৭ দোকানের ৫ কোটি টাকার মালামাল ভস্মিভুত

বগুড়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

রবিবার সকালে বগুড়া স্টেশন রোডের পার্শে রেলওয়ে শাপলা সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। এসব দোকান বেশির ভাগই জামা কাপাড় শাড়ি কাপড়ের। ঈদের কেনাকাটার শেষ জমজমাট মুহুর্তে এই অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীরা ব্যবক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেকে হয়ে পড়েছেন নিঃস্ব। রেল লাইনের পাশে এই মাকের্টে সাধারণতঃ নিম্ম  ও স্বল্প আয়ের লোকজন কেনা কেটা করে থাকেন। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫ কোটি টাকার মালামাল ভষ্মিভুত হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়ছেন। ফায়ার সার্ভিস প্রায় ২ ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নেভায়।

শাপলা সুপার মার্কেটের পুরাতন কড়িতলা এলাকা সংলগ্ন দোকানের ২টি সারিতে এই আগুন লাগে। সেখানকার আব্দুল্লাহ ক্লোথ স্টোরের স্বত্তাধিকারি জানান, সকাল ৭ টার দিকে তিনি ছেলেকে নিয়ে দোকান খোলার সময় সামনের দোকানের সারিতে ধোঁয়া দেখতে পান। এতে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন। ঘটনার সময় কিছু ব্যববসায়ী কেবল দোকান খোলা শুরু করেছিলেন। পরে পুলিশের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে তারা খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল ৭ টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে তারা দ্রুততম সময়ে চলে আসেন। তবে এর আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের চিটাগাং গার্মেন্টসের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান তার দোকানের ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। শিরিন গার্মেন্টের কোব্বাত হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুয়ে গেছে। মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান লিটন জানান সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি প্রায় ৫ কোটি টাকা। বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, বগুড়া সদরের ৫টি ইউনিটসহ পাশের শাজাহানপুর ও কাহালু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২ ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। মোট ৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। তিনি জানান কিভাবে আগুন লেগেছে তার পরিস্কার নয়, তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তারা এখনই কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। তবে বেশ কয়েক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা মশার কয়েল থেকে আগুন লাগতে পারে। যে সব দোকান পুড়ে গেছে সে গুলো শাড়ি, থ্রিপিস,বিভিন্ন ধরনের কাপড়, তোয়লা ছাড়া ২টি প্রেস ছিলো। আগুন লাগার পর ব্যবসায়ীরা তড়িঘরি করে মার্কেটে চলে আসেন। অনেককে এসময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। অনেক  দোকানী মালামাল বের করার আগেই শেষ হয়ে যায়।