বগুড়া শহরে রেইনবো কমিউনিটি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার পর সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মারা যাওযা নবজাতকের বাবা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারি শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিজিবি সদস্য সোহেল রানা জানান, গত ১৬ নভেম্বর তার স্ত্রী শান্তি খাতুন কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কন্যা শিশুর নাম রাখা হয় ফাতেমা। অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার পর নবজাতকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ওই দিনই নবজাতকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার মান ভাল না হওয়ায় পরদিন ১৭ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে শহরের কলোনী এলাকায় রেইনবো কমিউনিটি ক্লিনিকে নবজাতককে ভর্তি করানো হয়। ভতির পর থেকেই নবজাতকে নিউনেটাল ইনসেটিভ কেয়ার ইউনিটিতে (এনআইসিইউ) অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। ফাতেমার বাবা আরো জানান, অক্সিজেনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিদিন ৯ হাজার টাকা হিসেবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে চুক্তি করে। কিন্তু সেখান সেবার মান ভাল ছিল না। শুক্রবার দুপুরে অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে কর্তব্যরত নার্সদেরকে জানায়। তারা ক্লিনিকের গোডাউন থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসতে দেরী করায় শিশুটি মারা যায়। নবজাতক মারা যাওয়ার পর তার স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
রেইনবো কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক শাম্মি আক্তারের ভাই দাবী করে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল রানা নবজাতকের মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন নি। তবে তিনি বলেছেন এখানে কোন অবহেলা হয় নি। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ একে বসাকের অধীনে নবজাতককে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ডাঃ একে বসাক নবজাতককে দেখে গেছেন।
শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুলিশ ক্লিনিকে অবস্থান করছে। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিতে গেছেন। অভিযোগ দিলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
