টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের মো. রহম শেখের মেয়ে ফাতেমা আক্তার গত এক বছর ধরে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত। ফাতেমা আক্তারের পরিবারের আর্থিক দৈন্যতায় চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হচ্ছে দিনের পর দিন। ফাতেমা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় অবস্থিত সরকারি সা'দত কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেন, তার ইচ্ছে ছিলো ভালো একটা চাকরি নিয়ে অভাবের সংসারের হাল ধরবেন।
ফাতেমা আক্তারের পরিবারে একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি তার বড় ভাই হাসান শেখ, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাই স্কুলের দপ্তরি পদে চাকরি করেন, যা ইনকাম হয় তা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানোই কষ্ট, ফাতেমা আক্তার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ঔষধ লাগে, এত টাকার জোগাড় করা পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভব হচ্ছে না, অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা বর্তমানে থেমে যাওয়ার পথে। অভাবের সংসারে এখন আর মিলছে না অর্থ। ফলে চিকিৎসাহীনতায় সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন ফাতেমা আক্তারের ভাই হাসান আলী।
গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কিনডি বিভাগের ডাক্তার নারগিছ চিকিৎসককে দেখানো হয়েছে ফাতেমাকে। তিনি জানিয়েছেন, ফাতেমা আক্তারের দুটো কিডনির অবস্থা ভালো নেই। কিডনির উন্নত চিকিৎসা করিয়ে অপারেশন না করলে তাকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। দ্রুতই তার চিকিৎসা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে যত দ্রুত সম্ভব তার কিডনি অপারেশন প্রয়োজন। আর এজন্য দরকার অন্তত প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু অর্থাভাবে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই সুন্দর পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সমাজের সকল হৃদয়বান, বিত্তশালী, দানশীল, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন তার পরিবার এবং সমাজের সচেতনমহল। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে ফাতেমা আক্তার কে বাঁচানো সম্ভব।
হাসান শেখ
অনুদানের জন্য
বিকাশ নগদ পারসোনাল ০১৭৪৮-৯২৯৬১৩
ডাচ বাংলা ব্যাংক : ১৩৬১৫৮০০১৮৭৪৮
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ