ঢাকা, সোমবার ১৩ মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১
নতুন উদ্দীপনায় চলুক

বাঁশবাড়ী করমীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা

কামরুল হাসান, জামালপুর: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

আগামীকাল ১ জানুয়ারি, ২০২৪ ইংরেজি নব-বর্ষের শুরু। নতুন বছরের নতুন উদ্দীপনায় চলুক জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী করমীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম। বছরের পর বছর বদলী শিক্ষক আর শিক্ষকদের গরহাজিরাসহ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতা দূর হোক। নতুন উদ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এলাকার ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটুক। সেই সাথে সকল নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দূরীভূত হোক। এ জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক, পরিচালনা কমিটি ও নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। 

মাদ্রাসাটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মাদ্রাসায় আসেন না। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত বেতন-ভাতা ঠিকই গ্রহণ করেন। অথচ তিনি বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন জনকে অল্প টাকায় বদলী শিক্ষক হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছেন। এতে করে একদিকে যেমন তিনি সরকারি বেতন-ভাতার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংসারের অন্যান্য কাজ করে লাভবান হচ্ছেন। অপরদিকে তেমনি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের ন্যায্য হক থেকে বেহক করা হচ্ছে। কারণ সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত একজন প্রধান শিক্ষককেই নিয়োগ দিয়েছে। তার বিদ্যা-বুদ্ধি, জ্ঞান-গরিমা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পাঠদানের কৌশল আর যাই হোক তার দেয়া বদলী শিক্ষকের নেই। একথা হলফ করেই বলা যায়। আরও বলা যায়, তিনি আরবি বিষয়ে যতটা জানেন অন্তত বদলী শিক্ষক কোন দিক থেকেই তার সমকক্ষ নন। এ যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন, হবিবর রহমান ও মিজানুর রহমান পালাক্রমে গরহাজিরার মাধ্যমে ক্লাস নেন। শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা অনুযায়ী সংখ্যায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। অর্থাৎ ক্লাসে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা নিতান্তই কম। ইতোপূর্বে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে ও মাসিক প্রতিবেদনে অন্য প্রতিষ্ঠানের ধার করা শিক্ষার্থীদের দেখানো হয়েছে। বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থী অনুসারে সরকারের দেয়া নতুন বই শিক্ষার্থীর অভাবে মাদ্রাসার আশেপাশের দুয়েকটি বাড়ি-ঘরে পড়ে থাকে। এতসব অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি টিকে থাক এই ভেবে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন মহল ছাড় দিয়েছে। সচেতন মহলের দাবি- শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে সু-দৃষ্টি দেবেন।