সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা সচেষ্ট থাকবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
‘পুলিশ সপ্তাহ’ উপলক্ষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটি প্রশংসনীয় নাম। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে। পরিবর্তন ঘটছে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতেও। অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন অপরাধ ঘটাচ্ছে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ নির্ণয় ও দমনে বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে সামান্য ‘থ্রি-নট-থ্রি’ রাইফেল দিয়ে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে ‘জনগণের পুলিশ’ হওয়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য বিপদে-আপদে জনগণের পাশে থাকবেন। পুলিশের সহায়তা চেয়ে কোথাও কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন অযথা হয়রানি বা অবহেলার শিকার না হয় এ বিষয়ে আপনারা আরো তৎপর হবেন।
এ সময় পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।