রোববার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিম্নচাপটি ইতোমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আজ মাঝরাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে। ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ অক্টোবর ভোরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে।’
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল ও সন্দ্বীপের মাঝামাঝি দিয়ে যাবে। বাংলাদেশের পুরো উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব বিস্তার করবে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর সিত্রাং ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে। আমরা ইতোমধ্যেই সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছি।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ আকারে আজ সকাল ৯টায় (অক্ষাংশ ১৫.৫ ডিগ্রি উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯.২ ডিগ্রি পূর্ব) পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের তথ্য তিনি বলেন, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে।
মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সারা দেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতি বাড়বে। যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আবহাওয়ার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।