টক-মিষ্টি স্বাদের স্ট্রবেরি। দেখতেও বেশ। চাইলে বাড়িতেও ফলাতে পারেন এটি। খুব বেশি ঝুঁকি নয়। কয়েকটি নিয়ম মানলেই মোটামুটি তিন মাসেই মিলবে ‘ফল’।
চারা
নার্সারি থেকে সরাসরি স্ট্রবেরির চারা কিনতে পারেন। গাছে ফলন পেতে গেলে চারাও ভাল হওয়া দরকার। খুব ছোট চারা কিনলে সেটি ছোট ভাঁড়ে বা কফি কাপে বসিয়ে দিতে পারেন। চারা একটু বড় হলে বসাতে হবে টবে।
মাটি
দোঁআশ মাটিতে স্ট্রবেরি ভাল হয়। ৩০ শতাংশ মাটি, ৩০ শতাংশ কোকোপিট, ৪০ শতাংশ জৈব সার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিন। মাঝারি আকারের টবে ৬ ইঞ্চি গর্ত করে বসিয়ে দিন চারা। একটি বড় টবে একাধিক চারা বসাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছ বাড়বৃদ্ধির জন্য যাতে প্রয়োজনীয় জায়গা পায় তা দেখতে হবে।
জল
স্ট্রবেরি গাছের জন্য মাটিতে আর্দ্রতা থাকা প্রয়োজন। তবে গোড়ায় জল জমলে গাছের ক্ষতি হতে পারে। প্রতি দিন নয়, গাছের গোড়ায় কয়েক দিন বাদে বাদে জল দিতে হবে। যখন জল দেবেন বেশি করে দেবেন। যাতে গাছের শিকড় পর্যন্ত জল যায়।
ঢেকে দিন
পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছ বাঁচাতে এবং মাটি ভাল রাখতে প্লাস্টিক দিয়ে গাছের গোড়া এবং মাটি ঢেকে দিতে পারেন। তবে গাছ থাকবে প্লাস্টিকের বাইরে। কারণ, গাছের বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট আলো-হাওয়া দরকার।সার
গাছের বেড়ে ওঠার সময় সার দেওয়া দরকার। জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন। চালের জল, ফলের খোসা পচিয়ে তরল সার তৈরি করে সেগুলিও দেওয়া যায়। মাসে এক বার দিলেই যথেষ্ট।
নজর
গাছের বেড়ে ওঠার সময় পর্যবেক্ষণ জরুরি। পাতা পচে যাচ্ছে কি না, ফল আসছে কি, গাছের বৃদ্ধি ঠিকমতো হল কি না দেখা দরকার। সমস্যা হলে দ্রুত তার সমাধান খুঁজতে হবে। পাতা পচে গেলে বা ফল ধরে পচে গেলে, সেগুলি দ্রুত ফেলে দিতে হবে।
ফল
৬০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যেই গাছে ফল পাওয়া যায়। শীতের মরসুমে ফল হলেও গাছ বাঁচে সারা বছরই। তবে প্রবল গরমে গাছ একটু ছায়ায় রাখলেই ভাল থাকবে।
বায়ান্ন/এসএ