বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক উসাজাই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়। বান্দরবান ছাড়াও ঢাকায় করেছেন বাড়ি-গাড়ি । সন্তান পড়াশোনা করছেন লন্ডনে। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসেছে উসাজাই সম্পত্তি অর্জনের চমকপদ কাহিনী। মুলত দীর্ঘদিন বান্দরবান জেলা পরিষদে হিসাব রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উসাজাই নিজের আখের গুছিয়েছেন। জানা গেছে বান্দরবানের
মধ্যম পাড়া বৈদ্যগলিতে কোটি টাকা মুল্যে ৩ গন্ডা জমি, জমজম হোটেলের সামনে মুদি দোকান, কোটি টাকার মুল্যের ঝমঝম হোটেল, শিল্পি গলিতে ৩ শতক জমি , রাংলাই বাড়ি এলাকায় মুল্যবান জমি, রোয়াংছড়ি স্টেশনে জমি, লেমুঝিড়ি আগা পাড়া ১ ম শ্রেণীর ৫ একর জমি, ১০ একর সেগুন বাগান, চড়ুই পাড়া ১০ একর পাহাড়ি জমি, উজিপাড়া প্রবেশ মুখে ২৪ শতক জমি, ঢাকা ধানমন্ডিতে ৫ কোটি টাকা মুল্যের ফ্লাটসহ অসংখ্য সম্পত্তির মালিক উসাজাই। ঢাকায় রয়েছে তার একাধিক গাড়ি। ২য় শ্রেণীর চাকরি করেও সন্তান পড়াশোনা করছেন লন্ডনে। উপরের হিসাব মাত্র তার সম্পত্তির একাংশই। বান্দরবান-ঢাকায় বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে শত শতকোটি টাকা ডিপোজিট। মুলত দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একই পদে আজেন উসাজাই। প্রতিবছর পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া খাদ্যশষ্য পুরোটাই বন্টন করতেন তিনি। এক হিসেবে দেখা গেছে
১৬ বছর ধরে প্রায় ৭শ ২০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য প্রকল্পের পুরোটাই ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আর তার পেছনে রয়েছে হিসাব রক্ষক উসাজাইয়ের ভুমিকা।
সরকার যেখানে দাতব্য প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা, রাস্তাঘাট সংস্কার ও ছোটখাটো ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের জন্য এই খাদ্যশস্য প্রকল্পগুলো দিয়ে থাকে। সেখানে কাগজেপত্রে নামমাত্র ও অস্থিত্বহীন প্রকল্প সাজিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আর এই ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পেতেন উসাজাই। এই বিষয়ে জানাতে তাকে বেশ কয়েকার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেনি। হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো: ওসমান গণি চৌধুরী জানান জেলা পরিষদের খাদ্যশষ্যের বিষয়টি উসাজাই দেখভাল করতেন । এই বিষয়ে তিনি কিছু জানে না। উসাজাইয়ের অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে বান্দরবান জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলার ৪৩ জন দুর্নীতিবাজ চিহিৃত করে জেলা প্রশাসককে দেওয়া তালিকায় উসাজাইয়ের নাম রয়েছে।