ঢাকা, রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বামনায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও করনীয় নিয়ে মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মান্না বামনা | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৩:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

বাংলাদেশে বেশি সময় বর্ষার মৌসুমে বেশি দেখা দেয় ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা। কখনো কখনো এই জ্বর মহামারীরূপে দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে ভয়ংকর আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুজ্বর। এই মহামারী জ্বরে সমগ্র দেশে মৃত্যুবরণ করেছে অনেক মানুষ। সারা দেশে মানুষের মনে ছড়িয়ে পড়েছে ডেগুজ্বরের আতঙ্ক। 

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত একধরনের তীব্র জ্বর। ডেঙ্গু সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গুত্বর। ডেঙ্গু দুই প্রজাতির স্ত্রী মশা দ্বারা ছড়ায়। এর একটি হচ্ছে এডিস এজিপটাই ও অন্যটি এডিস এলকোপিপটাস। এডিস এজিপটাই স্ত্রী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড় দিলে সেই মশাটিও ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এরা শুনা যেত দিনের বেলায় কামড়ায় কিন্তু এখন সময় সময়ই কামড়াতে পারে। এই মশা ডিম পাড়ে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পাত্রের পানিতে যেমন- ফুলদানি, ফুলের টব, হাঁড়ির ভাঙা অংশ, পরিত্যক্ত টায়ার, মুখ খোলা পানির ট্যাংক, জলকাদা, ডাবের খোসা ইত্যাদি। সাধারণত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে মাংপেশি ও হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। দেহের তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রিতে উঠে যায়। মাথা ও চোখের মাংসপেশি ব্যথা, বমি বমি ভাব, বিষন্নতার ছাপ এবং দেহে এক ধরনের ফুসকুড়ি ওঠে। কখনাে কখনো মাংসপেশির খিচুনিতে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শিশু-কিশোররা এ জ্বরে আক্রান্ত হয় বেশি। ভয়াবহ ডেঙ্গুজ্বরের কোনো চিকিৎসা নেই। নেই প্যাটেন্টকৃত কোনো ওষুধ। উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করতে হয়। রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে এসপিরিন বা এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। রোগীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা করতে হবে। মারাত্মক আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে পানিস্বল্পতা এবং রক্তক্ষরণের চিকিৎসার জন্য আইভি স্যালাইন বা রক্ত সঞালনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এডিস মশা যেহেতু ডেঙ্গুজ্বরের বাহক, তাই বাহক মশা দমন করাই ডেঙ্গুজ্বর প্রতিররোধের প্রধান উপায়। 

এব্যাপারে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন ডেঙ্গুর প্রতিরোধে বাসগৃহে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। দিনের বেলায় মশারি ব্যবহার করা। অর্থাৎ রোগ ছড়ানোর আগেই এডিস মশা নির্মূল করে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। স্কুল-কলেজের ছাত্রশিক্ষক এবং অভিভাবকসহ দেশের আপামর জনগণ সচেতন হলেই ভয়াবহ ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্ভব। আমরা মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা বাড়িয়ে তুলেছি এবং ডেঙ্গু রোগী পরীক্ষা নিরিক্ষা বাবদ সরকার ধার্যকৃত ৫০ টাকা ফি নিতেছি।