রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হালিমা খাতুন (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছে তার কোলে থাকা চার বছর বয়সী মেয়ে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমদমা তেল পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হালিমা খাতুন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও নিহত নারীর কর্মস্থল সূত্রে জানা যায়, মিঠাপুকুরের বৈরাগীগঞ্জ থেকে স্বামীর মোটরসাইকেলে করে ৪ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন হালিমা। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমদমা তেল পাম্প এলাকায় চলমান সড়কের সংস্কার কাজের কারণে খানাখন্দ এবং বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান হালিমা খাতুন।
এ সময় রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার মেয়ে ও স্বামী মিজানুর রহমান আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন!
নিহত নারীর স্বামী মিজানুর রহমান বৈরাগীগঞ্জে বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপনের শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। নিহত হালিমা খাতুনের বাড়ি পীরগাছা উপজেলার দেওতি হাউদারপাড় গ্রামে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের ফোরকান আলী জানান, হালিমা খাতুন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, মৃতদেহ পীরগঞ্জ বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ নিয়ে গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া তারাই দেখবে।