ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিজিবি দিবসে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে যৌথ ‘রিট্রিট সেরিমনি’

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:২১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২১’ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে পেট্রাপোল-বেনাপোলের নোম্যান্সল্যান্ডে বিএসএফ ও বিজিবি-র যৌথ রিট্রিট সেরিমনি’র আয়োজন করা হয়। সীমান্তে দু’দেশের মানুষের উপস্থিতিতে যৌথ প্যারেডের মাধ্যমে পালিত হল দিনটি। বিজিবি দিবসে দুই দেশের সাধারণ মানুষ দুই দেশের গ্যালারিতে ভিড় জমিয়েছিলেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগিয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, বিজিবির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল যশোরের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মোঃ নাজমুল হক, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সায়েদ মিনহাজ সিদ্দিক, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

দু‘দেশের কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যকার বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ আস্থা ও সুসম্পর্ক জোরদার, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের সীমান্ত সমস্যা নিরসনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এ ‘রিট্রেট সেরিমনি’। অনুষ্ঠান শেষে ফুল ও মিষ্টি বিনিময় মধ্যে দিয়ে এ রিট্রিট সেরিমনিকে ঘিরে দুই বাংলার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

প্রসঙ্গত দুই দেশের সীমান্তে বসবাসরত মানুষ ও সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ভারত বাংলাদেশের বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের শুণ্য রেখায় ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তৎকালিন বাংলাদেশের স্ব^রাস্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দি।

প্রতিদিন বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা সেখানে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করে। কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে দুই দেশের জাতীয় পতাকা উঠানো ও বিগিউলে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। মোট ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানের মধ্যে ১৮ মিনিট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাকি সময় কুচকাওয়াজের পাশাপাশি দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক মঞ্চে বেজে ওঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি এবং দেশের গান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপিত দর্শক গ্যালারীতে বসে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় দুই বাংলার সাধারণ মানুষ। দুই দেশের সাধারণ মানুষ একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে সেখানে মত বিনিময় ও আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায়। অনুষ্ঠান শেষে যে যার দেশে ফিরে যায়।

কিন্তু দেশজুড়ে করোনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় এ যৌথ প্যারেড অর্থাৎ ‘রিট্রিট সেরিমনি’। তবে করোনার প্রকোপ কিছুটা নিম্নমুখী হলেই বিশেষ বিশেষ দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘রিট্রেট সেরিমনি’।