অতি বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও চেরাপুঞ্জিতে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের ৯ ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। ফলে গোলাভরা বোরো ধান, মূল্যবান আসবাবপত্র ও গৃহপালিত পশুপক্ষী নিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বানভাসি লোকজন।
বন্যার জলে ভেসে গেছে ছোটবড় দুই শতাধিক পুকুর ও খামারের কোটি কোটি টাকার মাছ। এতে মুনাফা লাভ করা তো দূরের কথা, বিভিন্ন ব্যাংকসহ মহাজনদের ঋণ পরিশোধের অনিশ্চয়তায় হতাশায় ভুগছেন খামারিরা।
অপরদিকে বিনষ্ট হয়েছে সদ্য বপনকৃত শতাধিক হেক্টর আমনের বীজতলা ও উৎপাদিত শাকসবজির মাঠ। এছড়া গত শনিবার লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পাশে খাসিয়ামারা নদীতীরের বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং বগুলা বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ ক্যাম্পেরঘাটের পাশে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ঢালা সৃষ্টি হওয়ায় তলিয়ে গেছে উজানের শতাধিক বাড়িঘর ও পোল্ট্রি ফার্ম। ভেঙে পড়েছে উপজেলা সদরের সাথে ওই দুই ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ। বেকার হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার দিনমজুর। চোখে সর্ষেফুল দেখছেন তারা। এমতাবস্থায় শীঘ্রই দোয়ারাবাজার উপজেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে হালকা খাবার, পানি বিশুদ্ধিকরণ টেবলেট ও পানিবাহিত রোগের ওষুধপত্রসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বানভাসি লোকজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার তনু জানান, বন্যা মনিটরিংসহ দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রশাসনিক সকল প্রস্তুতি সারাক্ষণ মওজুদ রয়েছে।