বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, ‘হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সহিংসতা এড়াতে আহ্বান জানাই।’
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যাতে সবাই সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনী পরিবেশে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথু মিলারের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় পাশে থাকতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাগিদ দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুধু নির্বাচনী প্রচার বাদে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করে তথাকথিত নির্বাচনের আগে পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ও তার ডেপুটির দাবি, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সরকার গঠনের পর ক্ষমতাসীনদের সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী?
ম্যাথু মিলার জবাবে বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের হাজারো সদস্যকে গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে সংযত থেকে সহিংসতা পরিহারের তাগিদ দিচ্ছি। সবাই যেন অবাধ, সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয়হীন নির্বাচনপূর্ব এবং নির্বাচনি পরিবেশে অংশ নিতে পারে, সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সব অংশীজনের সঙ্গে কাজ করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দিচ্ছি।’
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো খবর আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আজ আমি নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছি না। তিনি বলেন, কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা সে বিষয়ে কোনো পর্যালোচনা করি না। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের চর্চা।