ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কন্যাশিশু জয়নব আক্তারকে চকোলটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে মারধর, জোরপূর্বক ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা, বাঁশঝাড়ে মরদেহ লুকিয়ে রাখার দায়ে কানাই মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই আদেশ দেন। এছাড়াও তাকে একলক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কানাই মিয়া জেলার সরাইল উপজেলা পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত লিবু মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় নিখোঁজ হন সরাইল উপজেলা পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের মো. হাদিস মিয়ার মেয়ে জয়নব আক্তার। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড় থেকে জয়নবের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জয়নবের মা ফেরদৌসী বেগম সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কানাইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশকে দেয়া জবানবন্দীতে কানাই মিয়া জানায়, সে জয়নবকে চকোলটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে। পরে জয়নবের মরদেহ বাড়ির পাশ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ফেলে আসে।
মামলার বাদীপক্ষের নিযুক্তিয় আইনজীবী সৈয়দ মেরাজুল ইসলাম জানান, 'নৃশংসভাবে শিশু জয়নব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি কানাই মিয়ারর জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। রায়ে বাদীপক্ষের লোকজন সন্তুষ্ট।' ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক দিদারুল আলম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালত একজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছে।'