মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রুবেল হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল ফাত্তাহ (৬০) ও আব্দুল আহাদ (৫৩)। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তাকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাবিবুর রহমান পিপিএম বিকেলে বলেন, রুবেল হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করি, শীগ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
থানা পুলিশ, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের সময় বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে কেছরিগুল এলাকার জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির বর্তমান মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় রুবেল আহমদ কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় তাকে (রুবেলকে) জামাল আহমদের পক্ষের লোক ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সরফ উদ্দিন নবাব গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রুবেল গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহত রুবেলের ছোট ভাই ফয়ছল আহমদ বাদি হয়ে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।