ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তার প্রত্যর্পণের দাবি উঠতে থাকে। দুই মাস না হতেই হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবিটি দৃঢ় আইনি রূপ নেয়। আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে, প্রশ্ন উঠেছে ভারত হাসিনাকে ফেরত দেবে কিনা।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইনি কাঠামোয় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে পারে দিল্লি।
ভারতের ওই গণমাধ্যম প্রতিবেদনে আরও জানায়, প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে আইনি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তি। এক বছরের শাস্তিযোগ্য অপরাধ থাকলেই আসামিকে প্রত্যর্পণে বাধ্য উভয় দেশ। এ ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেই হবে, দোষী প্রমাণিত হওয়ার দরকার নেই।
রাজনৈতিক ঘরানার অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী প্রত্যর্পণে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু হাসিনাকে রাখার জন্য এ ধারা কাজে লাগাতে পারবে না দিল্লি। কারণ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থাকলে অকার্যকর হয়ে যায় এ ধারা।
তবে, হাসিনাকে ভারতে রাখার আইনি বিকল্প হলো চুক্তি বাতিল করা। নোটিশ দিয়ে চুক্তি বাতিল করতে পারবে ভারত। তবে, উভয় দেশের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভারত এ ঝুঁকি নেবে কি না, সেটি এখন দেখার বিষয়।