কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, ভারতীয় কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের আভ্যন্তরিণ ইস্যুগুলোকে রঙ মাখিয়ে আরও ফলাও করে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতায় লিপ্ত। বাংলাদেশের ভৌগলিক স্ট্র্যাটেজিকেল কিছু ভূখণ্ড দখলেরও উস্কানি দিচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা ভারতীয় মিডিয়ার এমন অপতৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাইতে হবে এবং এসব বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খেলাফত মজলিস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী ধারাবাহিক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসব কথা বলা হয়।
এতে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, সম্প্রতি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগের ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা পরিপন্থি হওয়ায় বর্তমানে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৫ বছরে সুবিধাভোগীরা বিপ্লবী চেতনাধারী হতে পারে না। ছাত্র-জনতা বিপ্লোবত্তর এই সরকারকে নিরংকুশ সমর্থন দিয়েছিল বিপ্লবী চেতনা রক্ষা করবে বলে। যেখানে পুরো রাষ্ট্র কাঠামো থেকে স্বৈরতন্ত্র ও অবিচার মূলোৎপাটনের সংস্কার হবে সেখানে বিপ্লব বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
তারা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সাথে ছাত্র-জনতার ঐক্য বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। সরকারকে অবশ্যই বিপ্লবের অংশীজনের মতামত নিয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে সচেতন হতে হবে। বিতর্কিতদের অপসারণ করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা ও সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হলে কোন বিতর্ক থাকার কথা নয়। সভায় দাবি করা হয়, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে সকল সংস্কার কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমীর মাাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিলসহ আরও অনেকে।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে