ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র আটক

এম এইচ শাহীন, গাজীপুর | প্রকাশের সময় : বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত এলাকায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর- ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।

আসাদুর রহমান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৩নং ওয়ার্ডের পাগান গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী খানের ছেলে।

বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, নিজস্ব গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে কিছু ব্যক্তি অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে অধিনায়কের নির্দেশনায় বিজিবির শিকারপুর বিওপির টহল দল সীমান্তবর্তী বেতনানদী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তপথ দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা।

কিরণ বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গাজীপুর ও রাজধানীর উত্তরা থানায় একাধিক মামলার এজাহারে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিরণ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৩নং ওয়ার্ডের পাঁচবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন।

তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি শার্শা উপজেলার স্থানীয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নূর নবীর মাধ্যমে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার চুক্তি করে সীমান্তে এসেছিলেন। আটক আসাদুর রহমান কিরনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে যশোরের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজিবি জানায়।

২০২১ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আসাদুর রহমান কিরণ। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনের পর অধ্যাপক এম এ মান্নান কারাগারে থাকাকালীন আড়াই বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কিরণ।