বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করল ব্রাজিল। ম্যাচের শুরুর দিকেই রাফিনিয়ার দারুণ শটে লিড পেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে ভেনেজুয়েলার বুলেট গতির গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। এরপর ব্রাজিলের সামনে সুযোগ এসেছিল, কিন্তু ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পেনাল্টি মিসে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।
ব্রাজিল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। নবম মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, তবে শেষ মুহূর্তে শট নিতে ব্যর্থ হন। এরপর রাফিনিয়ার প্রচেষ্টা গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
২২তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের দুর্ভাগ্যজনক মুহূর্তটি আসে। সতীর্থের পাস থেকে বক্সে পা ছোঁয়ানো শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোলটি আসে প্রথমার্ধের ৪৩তম মিনিটে। রাফিনিয়ার বাঁকানো শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রাফায়েল রোমোকে পরাস্ত করে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ভেনেজুয়েলা দ্রুত সমতায় ফেরে। ৪৯তম মিনিটে স্যাভারিনোর পাস থেকে তেলাসকো সেগোভিয়ার দুর্দান্ত শটে ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন পরাস্ত হন।
ব্রাজিলের জন্য ম্যাচ জয়ের সেরা সুযোগটি এসেছিল ৫৯তম মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের উপর ফাউলের জন্য রেফারি পেনাল্টি দিলেও স্পট কিকটি তিনি জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। ফিরতি বল থেকেও গোল করতে না পারায় হতাশার চূড়ায় পৌঁছায় ব্রাজিল।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মাঠের পানির নল হঠাৎ ছেড়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় ব্রাজিলের ফুটবলারদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের সহকারী কোচ।
পয়েন্ট তালিকার অবস্থান
এই ড্রয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে কনমেবল অঞ্চলের তৃতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ভেনেজুয়েলা আছে সপ্তম স্থানে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা।
বায়ান্ন/এএস