ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকা বাসি। তিনি তার বাহিনী দিয়ে এলাকায় অবৈধ ভাবে দখল বাজি, ব্লাকমেইল, মানুষিক নির্যাতন, নারীদের ইভটিজিং, মাদক সেবন করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে বিভিন্ন নির্যাতনের খড়ক। গালমন্দ করেন অশালিন বাষায়। তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করছেননা কেউ।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এ উপসহকারী পদে যোগদান করেন। এখানে যোগদানের পরে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। আস্তে আস্তে অফিসে প্রভাব বিস্তার করে অফিসকে নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করতে থাকেন। কাজের পার্সেন্টিজ নিজেই গ্রহন করে ভাগ বাটোয়ারা করেন। ভোলার বাহিরের ২০ জন কর্মকর্তারা তার কাছে জিন্মি হয়ে পরেন, তার কথামত চলেন তারা। নামে-বেনামে অযোগ্য লাইসেন্স দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত শত কোটি টাকার কাজ নিয়ে তিনি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিজের কাজে নিজেই কর্মকর্তার দায়ীত্ব নিয়েছেন, কাজ করেছেন নয় ছয় করে, ২০-৩০ ভাগ কাজ করে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ কাজের বিল ভাউচার করে হাতিয়ে নিয়েছেন সরকারী কোটি কোটি টাকা। নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি নিজে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেন। তদন্ত করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। যার দাপটেই একই স্থানে ৭ বছরের অধিক সময় চাকুরী করেন। ভোলায় নামে বেনামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সড়ক বিভাগের পাশে বানিয়েছেন আলিসান বাড়ি। রোড কিং ,পাজারো গাড়ি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য জোড় পূর্বক একজন প্রবীন শিক্ষকের ৪০ বছরের বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে বিশাল আকারের রাস্তা বানিয়েছেন। ওই শিক্ষক থানায় অভিযোগ করেছেন। তার বাহিনীরাও চলেন রাজার হালতে। এলাকা বাসি জানান, হুমায়ুনের যে গ্রুপটি রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন ভয়ভিতী, ব্লাকমেইল, অবৈধ দখল বাজি, মানুষিক নির্যাতন, নারীদের ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা ও সেবন করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে বিভিন্ন নির্যাতনের খড়ক। তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করছেননা। তিনি প্রশাসনকেও পাত্তা দেননা, অশালীন ভাষায় গলমন্দ করেন সবাইকে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তার মুঠো ফোনে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।