ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভোলায় সার কারখানা করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ভোলায় পাওয়া গ্যাসক্ষেত্র এলাকার আশপাশে একটি সরকারখানা করা যায় কি না সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

 

সিলেটে তেল পাওয়ার বিষয়টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমি যখন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তখন তিন বছরে ৪৬টি কূপ খননের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছিলাম। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যে কূপটি খনন করা হয়েছিল, সেখানে তেল পাওয়া গেছে। তিনি (জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী) আশা করছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আরও আমরা গ্যাস পাবো। অন্যান্য খনিজ সম্পদও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে ভোলা এলাকায় আমরা যে গ্যাস পেয়েছি, সেটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে যে, আমরা সেখান থেকে সিলিন্ডারে করে গ্যাস ঢাকায় আনতে পারি। ঢাকা এনে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সেটি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেটি পরিমাণে খুব বেশি নয়। ওখানে যে গ্যাস আছে সেখানে আরও কিছু করা সম্ভব।’

 

মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, ওখানে একটি সার কারখানা করে গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না- সেই বিষয়টি সমীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করা যেতে পারে। একটি কার্যকর সমীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

 

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় জেটি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আলোচনার সময় একটি নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমাদের যে সমুদ্র তীর আছে, সেখানে ডেক বা জেটি নেই। আপনারা যারা বিদেশে গিয়েছেন তারা দেখেছেন যে সব ইশে (সমুদ্র তীর) একটি জেটি থাকে, মানে একটি টার্মিনালের মতো। সেখানে জাহাজগুলো থাকে এবং ওখান থেকে যাত্রী নেয় তারা। সমুদ্রে ট্যুর করে ওখানে আবার যাত্রী নামিয়ে দেয়।’

 

মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের এরকম টার্মিনাল করা যায় বা জেটি নির্মাণ করা যায়। স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নির্মাণ কাজটি যেন দ্রুত শুরু করতে পারেন। এজন্য সমীক্ষা পরিচালনা এবং এ ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’